ওয়াজাহাতী মজলিস
ওয়াজাহাতী মজলিস
তাবলীগ জামাতের বর্তমান যে সংকট, তার জন্যও মূলত দায়ী হলো ব্যক্তিবিশেষের ‘ফিকরী বে-রাহরবী’ তথা চিন্তাগত বিপথগামিতা। হক্কানী উলামায়ে কেরাম বিষয়টি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এর সংশোধনকল্পে প্রথমে দীর্ঘদিন খুসূসীভাবে মেহনত করেছেন। কিন্তু যখন তা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হয়নি, তখন তারা নিজেদের দ্বীনী দায়িত্ব পালনার্থে সর্বস্তরের উম্মতকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আর আদর্শচ্যুত ওই فكرى بے راه روى (চিন্তাগত বিপথগামিতা) থেকে রক্ষা ও সতর্ক করার জন্য উমূমীভাবে প্রকাশ্যে মেহনত শুরু করেন।
এই মেহনত সর্বাত্মকভাবে অব্যাহত রাখা হক্কানী আলেমগণের জন্য সময়ের অন্যতম কর্তব্য ও দ্বীনী ফরীযা। সেই ফরীযা আদায় করার জন্য অনেক নিভৃতচারী আলেমকেও তাদের মূল ব্যস্ততা থেকে ফারেগ হয়ে উম্মতের সামনে হাজির হতে হয়েছে। তাঁদেরই অন্যতম হলেন, মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা-এর আমীনুত তা‘লীম হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম। তিনি এ উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিজের অসংখ্য মৌলিক মাশগালাকে (ব্যস্ততাকে) সাময়িক মওকুফ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজাহাতী মজলিসে উপস্থিত হয়েছেন এবং পূর্ণ আদব, ইকরাম ও শারাফাতের সাথে এ পরিস্থিতির ইলমী ও উসূলী আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন।