রাহে ই‘তিদাল
রাহে ই‘তিদাল
ই‘তিদাল ও মধ্যপন্থা হলো, এই উম্মতের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
এর দাবি হলো, উম্মত তার দ্বীন-দুনিয়ার সবকিছুতে ভারসাম্যবোধের পরিচয় দেবে। কোনো ক্ষেত্রে প্রান্তিকতার পরিচয় দেবে না। বাড়াবাড়ি করবে না এবং শৈথিল্যেরও পরিচয় দেবে না। যদি এর অন্যথা হয় তাহলে উম্মত তার বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলবে এবং অন্যান্য জাতির মতো প্রান্তিক ও একরোখা সম্প্রদায়ে পরিণত হবে। উম্মত যাতে এ বৈশিষ্ট্য না হারায় সেজন্যে সকল কাজে তাকে এ দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
এ উম্মতের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য হলো, দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া এবং সৎকাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করা। কিন্তু এক্ষেত্রেও কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট নির্দেশনা হল, ই‘তিদাল ও মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। এতে শৈথিল্য প্রদর্শন যেমন উচিত নয় তেমনি চরমপন্থা অবলম্বনও ঠিক নয়। ফলাফল কোনওটিরই সুখকর নয়। বরং ক্ষেত্রবিশেষে বাড়াবাড়ির কুফলই তুলনামূলক বেশি হয়।
তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষভাবে বাড়াবাড়ির কথা উল্লেখ করে তার অনিষ্টতা সম্পর্কে উম্মতকে সাবধান করেছেন এবং তা পরিহার করে মধ্যপন্থা আঁকড়ে ধরার তাগিদ দিয়েছেন।