শোনো হে মুমিন
শোনো হে মুমিন
আল-কুরআনুল কারীম আল্লাহ পাক প্রদত্ত হিদায়াতনামা। যা তিনি মানুষের পথ প্রদর্শনের জন্য তাঁর প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি নাযিল করেছেন। যাতে মানুষ কুরআনের নিদের্শনা অনুযায়ী চলে এবং তার বিধানের অনুসরণ করে।
কুরআনই হলো, উম্মাতে মুসলিমার প্রাণশক্তি। এ কুরআনের সাথেই তাদের শৌর্য-বীর্য, শক্তি-সামর্থ্য, জীবন-মরণ, মর্যাদা ও সম্মানের সম্পর্ক।
কুরআনের মাধ্যমেই উম্মাতে মুসলিমা জীবনীশক্তি লাভ করে, তাঁর অন্তর স্পন্দিত হয়, কুরআনের বাণীই তাকে আমলে নিয়োজিত করে। কুরআন ব্যতীত উম্মাতে মুসলিমা জীবনীশক্তিহীন এমন এক জড় পদার্থ হয়ে যায়, পৃথিবীর রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে যার কোনো অবদান ও ভূমিকা নেই।
কুরআন এমন এক নূর (আলোকবর্তিকা) যা মানুষকে সীরাতে মুস্তাকীমের রাহনুমায়ী করে বেহেশতে পৌঁছে দেয়।
কুরআন মানুষকে কুফর, শিরক, বিদ‘আত ও অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে বের করে ঈমান, তাওহীদ, সুন্নাহ্ ও জ্ঞানের আলোকিত ভুবনে এনে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় উন্নীত করে।
এজন্যই ইসলামের সূচনালগ্ন হতে আল্লাহর পথের সত্যিকারের পথিকগণ কুরআন নিয়েই ব্যস্ত থেকেছেন, এভাবেই যিন্দেগীকে মূল্যবান বানিয়েছেন। এতেই জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেয়েছেন। কুরআনের ছায়ায় অতিবাহিত জীবনই উন্নতি ও সফলতা খুঁজে পায়। যাদের জীবন কুরআনের আলোকে যাপিত হয় তারাই পার্থিব ও পারলৌকিক উভয় জীবনে সফলতা লাভ করতে পারে।
আল-কুরআনুল কারীমে আল্লাহ পাক বান্দাকে বিভিন্ন অভিধায় অভিহিত করেছেন, এর মধ্যে হতে বান্দার জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক অভিধা হলো ' يَـٰٓأَيُّہَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ (হে ঈমানদারগণ)! বান্দার জন্য এর চেয়ে সম্মানজনক সম্বোধন আর নেই। কুরআনুল কারীমে এ ধরনের আয়াতের সংখ্যা উননব্বই। এ সকল আয়াতের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণমূলক কিতাব আরব-অনারব উলামায়ে কেরামের অনেকেই লিখেছেন।
আমাদের বর্তমান আয়োজন ‘শোনো হে মুমিন’ এ বিষয়ক বাংলা কিতাব। এ কিতাবের উপর আমল করে একজন মুমিন নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ্।